বাক্ ১০৭ : রাণা বসু

অঙ্কের ভুলগুলো - ১

ক্ষীর মেজাজে
বাতাসের দোনলা ব্যবহার
রেখে দিচ্ছি
গম ভেঙে দোব
দুপুর ভর্তি থাকলে
বন্দুক চলে যায়
বসন্তও

শিশিরের আশপাশে
শিশুগাছ
তার পাশে মোম
তারও পাশে
তোর ওড়না
আমি চোখ বুজিয়ে
বন্দুক ধরে আছি
ট্রিগার ডুবে যাচ্ছে
আমিও

সাতসকালে চোর জন্মে গেল
ওপাশের পাড়ায়
চোরের বউ তিন পাড়া পর
কাল জন্মাবে

আমরা চুরি করে যাই
এতদিন যেভাবে
চুরি করেছি

আসলেই আমরা জন্ম জন্মান্তর
চোর

একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়
প্রত্যেকটা পাতার মতো
প্রত্যেকটা জানলা দরজা ও
তাদের পর্দারও
সমীকরণ আছে

তাই নির্দিষ্ট কয়েকপ্রকার ছাড়া
অন্যপ্রকার ডিজাইনের
জানলা দরজা বা পর্দা পাওয়া যায়না

জল বললে মনে পড়তে পারে
আমরা জলীয় ছিলাম
তাই জলের অপর নাম
জীবন রেখেছি

উৎপত্তি ব্যুৎপত্তি
জনন বংশগতি নিয়ে ভাবার অনেক পর
স্ল্যাং বলে খিস্তি দেবার সময়
চারপাশ ঘুরে দেখি
যেন আমার উৎপত্তিটা বড় অনিশ্চিত বা
নোংরা ছিল

x ধরতে ধরতে
গোড়ায় পৌঁছে দেখি
সাদা আলো ভেঙে গেছে
সবথেকে বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোর বর্ণালী
আমায় ক্রাইসিস দেখাচ্ছে

মা বারণ করেছিল
ওপাশে যেতে না
আমি ভুলে গেলাম
যখন মনে পড়ল
তখন নিজেকে রাজা রাজা লাগছিল

পুরীতে সূর্যোদয় দেখিনি
তাই কমিটেড হবার পর
প্রথম সূর্যোদয়ের দিন
আমার হাতে পেন ছিল
কালিও

আমি কালিতে
সূর্যাস্ত দেখার চেষ্টা করছিলাম

ভগবান আমায় সাহায্য করুন।
একটা ছোট্ট চিঠির উত্তরে
ভগবান যা লিখেছিল-

".............
...........
......."

সব থেকে ডানদিকে
আমি বসিনি কখনও
সব থেকে বাঁদিকেও
আমি বসিনি
এটা বলার সময় 'মাঝখান' শব্দটার
সমদূরবর্তী ধারণাটা
বাগড়া দিল
যেন আমি মাঝখানেও
বসিনি কখনও

জিভ একটা অত্যন্ত জীবিত প্রসঙ্গ
জিভের আকার বড় বা ছোট হলে
জীবন পাল্টে যায়
সমীকরণের মত
আমার বাবার জিভ নিয়ে
আমি কথা বলতে পারব না
আমার বৌ এটা শুনে
জিভ উল্টে বলল,
"যাও, ভাত বাড়ার আগে
মুখটা ধুয়ে এসো"

অঙ্ক আর কবিতা আমায়
পাগল করে দিল
বিশ্বাস করুন
আমি বিয়ে করতেই চেয়েছিলাম
কবিতা আমায় দিয়ে
অঙ্ক করানোর পর
শুধু গুণ ছাড়া সমস্ত
অপারেশন
আমি সাকসেসফুলি
উতরে গেছি।।

                        (চিত্রঋণ : অঁরি মাতিস)